বিজ্ঞাপন
কিন্তু হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে হয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসতে দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির প্রবেশ পথে জায়গায় জায়গায় খানাখন্দ তৈরি হয়ে ব্যস্ততম এ সড়কের অবস্থা বেহাল।
বিজ্ঞাপন
সড়কজুড়ে বড় বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। টানা বৃষ্টিতে অনেক স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারী গাড়ি ও যাত্রীদের।
এদিকে, মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। যানবাহন চললে গর্তে জমে থাকা ময়লা পানি পথচারীদের গায়ে ছিটকে পড়ছে। আর প্রতিনিয়ত এসব ময়লা পানিতে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান কাপড়-চোপড়।
বিজ্ঞাপন
পথচারীরা জানান, উপজেলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট, মদনহাট, ইসলামীরহাট,নন্দীরহাট, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, লালিয়ারহাট, আমানবাজার, নতুনপাড়া, বালুচরা, অক্সিজেন পর্যন্ত মহাসড়কটির অসংখ্য ছোট- বড় গর্তের কারণে চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নাজিরহাটের তহিদ, রাউজানের আবু তাহের, ফটিকছড়ির বাদশা নামের বাসচালকরা জানান, প্রতিবছর বৃষ্টিতে মহাসড়কে ছোট- বড় গর্ত হয়। এ অবস্থায় একদিকে যানবাহন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। দুর্ঘটনার আশংকা থাকার পরও হাজার হাজার যাত্রীকে বাধ্য হয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মহাসড়ক দিয়ে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) হাটহাজারীর সদস্য ও হাটহাজারী পৌরসভার ব্যবসায়ী মো: কুতুবউদ্দিন নওশাদ বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে তা দ্রুত সংস্কার করলে সেখানে আর বড় গর্ত হবে না।
হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক হাটহাজারী নিউজ এর সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান মিয়া বলেন, এই মহাসড়ক দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে।যতদ্রুত এ মহাসড়কের খানাখন্দ মেরামত না করা হলে ফের যানজট ও যাত্রী বিড়ম্বনার সৃষ্টি হবে।
বিজ্ঞাপন
হাটহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসান মুহাম্মদ আজিজুল মোস্তাফা এ প্রতিবেদক কে বলেন, জানান, মানুষ যাতে সড়ক পথে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য মহাসড়কে আমাদের গাড়ি অলরেডি মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে মহাসড়কের যেখানে সলিং করার দরকার সেখানে সলিং এবং যেখান কার্পেটিং করা যায় সেখানে কার্পেটিং করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।